উৎকচ না দেয়ায় অবিচার করেছেন সেটেলমেন্ট অফিসার, ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় সংবাদ সম্মেলন
আপডেটঃ ১১:০০ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩

নিউজ ডেস্কঃ
দিনাজপুর:- গতকাল শনিবার ২৬ ফেব্রুয়ারী দিনাজপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট সকল উর্ধতন কর্ম-কর্তা গণের সুদৃষ্টি আকর্ষণ এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থার দাবী জানান মোঃ ফেরদৌস মন্টু।তিনি বলেন, আব্দুল কাফী আপত্তি অফিসার ও উপ-সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার ফুলবাড়ী, দিনাজপুর।
একক ভাবে ডেকে বলেন, আপনার কেস টি আপনিই জিতবেন যদি আমাকে ২ লক্ষ টাকা উৎকচ প্রদান করিতে পারেন।কিছু দিনপর আপত্তি কেসের রায়ের জাবেদা নকল সংগ্রহ করে দেখেন আপত্তি কেসটি ডিপি খতিয়ান হতে নাম কর্তন করে মোঃ আব্দুল জব্বার মোঃ শামিম আরা ডেইজি দ্বয়ের নামে রায় প্রদান করেছেন তারা।
দিনাজপুর ফুলবাড়ী উপজেলার মৌজা-কাটাবাড়ী,যে এল নং- ৫০ খতিয়ান নং সি,এস-৩৫৪ এস,এ-৪৩৭ খারিজ-৮১৫ ডিপি-৫৫৮ দাগ নং ৪০১,হাল-১১৬২,রকম-বাড়ী পরিমান ০.৩৪ একরের মধ্যে ০.০৫ একর পূর্ব উত্তর কোনে নিম্ন তফসিল বর্নিত, সম্পত্তি এস,এ রেকর্ডিও মালিক ছিলেন ভগিরথ রায়।
যাহার এস, এ খতিয়ান ৪৩৭, ভগিরথ রায় নালিশী দাগের সম্পত্তি ভোগ দখল করা কালিন একমাত্র পুত্র নরেশ চন্দ্র রায়কে ওয়ারীশ রাখিয়া মৃত্যু বরন করেন পিতার মৃত্যুর পর একক ভাবে নালিশী দাগের মালিক ও ভোগ দখলি থাকেন নরেশ চন্দ্র রায়।
নরেশ চন্দ্র রায় গত ইং ৩/৯/১৯৮০ সালে ৯২৩০নং খোষ কবলামুলে নালিশী ৪০১নং দাগের ০.৩৪ একরের মধ্যে ০.০৫ তদার পূর্ব উত্তর কোনাংশের জমি, কছির উদ্দিন মন্ডল বরাবর হস্তান্তর করেন।পরবর্তীতে গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানের স্বার্থে কছির উদ্দিন মন্ডল তফসিল বর্নিত সম্পত্তি নিজ নামে খারিজ করেন,যাহার মিস কেস নং – আইএক্স-আই/৫৮৬/৮৩-৮৪।
খারিজ খতিয়ান-৮১৫,বর্তমান বাংলা ১৪২৩ সন পর্যন্ত খাজনাদি পরিশোধ করিয়া আসিতেছেন।প্রকাশ থাকে যে কছির উদ্দিন মন্ডল গত ইং ১০/০৬/১৯৯২ তারিখে ২৬৯৮ নং -হেবাবিল এওয়াজ দলিল মুলে ৪০১ নং দাগের ০.৩৪ তার মধ্যে পূর্ব উত্তর কোনাংশে রাস্তা সংলগ্ন ০.০৫ একর জমি বরাবর ফেরদৌস মন্টুর নামে রেজিষ্ট্রির মাধ্যমে দখল হস্তান্তর করেন।
উক্ত তফসিল বর্নিত সম্পত্তিতে ইটের ওয়াল যুক্ত ৪ টি রুম তৈরি করে উপরে পাকা ছাদ দিয়ে বসতবাড়ী তৈরি করেন এবং পরিবার পরিজনদের নিয়ে বসবাস করে আসছেন সরকারকে খাজনা প্রদানের সুবিধার্থে নিজ নামে জমি খারিজ করেন যাহার মিস কেস নং – আইএক্স-আই /১২/৯২-৯৩, খারিজ খতিয়ান নং -৮১৫।
চলমান মাঠ জরিপে মোঃ ফেরদৌস মন্টুর নামে ডিপি খতিয়ান তসদিক হইয়া প্রকাশিত ও প্রচারিত হইয়াছে।যাহার ডিপি খতিয়ান নং -৫৫৮।রকম-বাড়ী, উল্লেখ রহিয়াছে।
তফসিলে বর্ণিত সম্পত্তি বিবাদী মোঃ আব্দুল জব্বার পিতা-মৃত জামিল উদ্দিন, মোছাঃ শামিম আরা ডেইজি,স্বামী মোঃ আব্দুল জব্বার মাঠ জরিপকালে মাঠ জরিপ কর্মকর্তাদের হাত করে ফেরদৌস মন্টুর স্বত্ব দখলীয় সম্পত্তি জরিপ করিয়া নেন পরবর্তীতে ফেরদৌস মন্টু জানতে পারলে জরিপ কর্মকর্তাদের বরাবর অভিযোগ প্রদান করেন জরিপ কর্মকর্তাগণ ফেরদৌস মন্টুর নামে মাঠ জরিপ করিয়া দেন এবং ডিপি খতিয়ান হাল দাগ প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়।
পরবর্তীতে ১৯৫৫ সনের পূর্ব বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইনের ৩০ ধারা মোতাবেক উপজেলা ফুলবাড়ী সেটেলমেন্ট অফিসার, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর বরাবর মোঃ ফেরদৌস মন্টুর বিরুদ্ধে -মোঃ আব্দুল জব্বার এবং মোছাঃ শামিম আরা ডেইজিদ্বয় ৩০ ধারায় আপত্তি কেস দায়ের করেন যাহার আপত্তি কেস নং -০৫।
মোঃ ফেরদৌস মন্টু উক্ত কেস নোটিশ প্রাপ্ত হয়ে সংশ্লিষ্ট ফুলবাড়ী সেটেলমেন্ট অফিসে হাজির হয়ে কাগজপত্র প্রদানসহ শুনানি করেন ফুলবাড়ী সেটেলমেন্ট আপত্তি অফিসার ও উপ-সহকারী অফিসার মোঃ আব্দুল কাফী, ফেরদৌস মন্টু উক্ত মোঃ আব্দুল জব্বার ও শামিম আরা ডেইজি দ্বয়ের বিরুদ্ধে ৩০ ধারায় আপত্তি কেস দায়ের করিয়া পরামর্শ দেয় এবং আপত্তি কেস দায়ের করি যাহার আপত্তি কেস নং-০৩।
দায়েরকৃত আপত্তি কেসের নোটিশ বিপক্ষদ্বয় প্রাপ্ত হইলে ফেরদৌস মন্টুর আপত্তি কেস টি গত ইং ০৩/০১/২০২২ তারিখে শুনানি হয়। শুনানির পরে মোঃ ফেরদৌস মন্টুকে আলাদা ভাবে ডেকে কর্মকর্তাদ্বয় বলেন কেসটি আপনি জিতবেন তবে আমাকে ২ লক্ষ টাকা উৎকচ দিতে হবে।
এই কথা শুনে পারিবারিক ভাবে পরামর্শের জন্য ফেরদৌস মন্টু বাড়িতে ফিরে যান পরবর্তীতে জাবেদা নকল সংগ্রহ করে দেখেন মোঃ আব্দুল কাফী আপত্তি অফিসার ও উপ-সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার ফুলবাড়ী, দিনাজপুর ফেরদৌস মন্টুর আপত্তি কেসটি খতিয়ান থেকে তার নাম কর্তন করা হয়েছে এবং মোঃ আব্দুল জব্বার ও মোছাঃ শামিম আরা ডেইজি দ্বয়ের নামে প্রদান করা হয়েছে।
IPCS News : Dhaka : আব্দুস সালাম : দিনাজপুর।