রবিবার ৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ২২শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

ইরানের কড়া বার্তা: উসকানি দিলে ইসরাইল ধ্বংসের মুখে পড়বে

আপডেটঃ ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ | জুলাই ০৫, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আবারও তুঙ্গে উঠেছে।ইরান সম্প্রতি ইসরাইলকে সরাসরি হুঁশিয়ার করে বলেছে, তেহরান যদি আবারও ইসরাইলি হামলার শিকার হয় বা আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়, তাহলে তার জবাবে ইসরাইলকে ‘ধ্বংসাত্মক পরিণতি’ ভোগ করতে হবে।ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বলেন, “ইসরাইল যদি আবারও আগ্রাসী আচরণ করে কিংবা আমাদের স্বার্থে আঘাত হানে, তাহলে আমাদের প্রতিক্রিয়া হবে তীব্র এবং ধ্বংসাত্মক।মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে দেওয়ার দায় ইসরাইলকেই বহন করতে হবে।”

এই হুঁশিয়ারি এমন এক সময়ে এসেছে যখন গাজা, লেবানন এবং সিরিয়া সীমান্তে ইসরাইলি সামরিক তৎপরতা বাড়ছে এবং এর পেছনে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর ভূমিকার অভিযোগ তুলে আসছে তেলআবিব। ইরান বলছে, তারা কখনোই আঞ্চলিক শান্তি নষ্ট করতে চায় না, কিন্তু আত্মরক্ষার অধিকার থেকে তারা একচুলও সরে আসবে না।বিশ্লেষকদের মতে, ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে এই উত্তেজনা দীর্ঘদিন ধরে চলমান হলেও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তা আরও বিপজ্জনক রূপ নিচ্ছে। গত এপ্রিল মাসে ইসরাইলের একটি সন্দেহভাজন বিমান হামলায় সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেট ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং এতে বেশ কয়েকজন ইরানি কর্মকর্তা নিহত হন। এর পরপরই ইরান ইসরাইলের বিরুদ্ধে সরাসরি পাল্টা হামলার ইঙ্গিত দেয়।

তেহরানের সর্বোচ্চ নেতার উপদেষ্টারাও বলছেন, “ইসরাইল এখন চূড়ান্ত দুর্বল অবস্থানে রয়েছে। তারা জানে, ইরানের সামরিক সক্ষমতা ও কৌশলগত অবস্থান কতটা শক্তিশালী। তাই উসকানি দিলে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ।”এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিষয়টিকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। পশ্চিমা শক্তিগুলো ইতোমধ্যে দুই দেশকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা না বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে।

তবে ইরান স্পষ্ট করে দিয়েছে, তারা যুদ্ধ চায় না, কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বে আঘাত আসলে প্রতিক্রিয়া হবে “প্রতীক্ষিত নয়, বরং চূড়ান্ত ও ধ্বংসাত্মক।”বিশ্ব রাজনীতিতে ইরান-ইসরাইল দ্বন্দ্ব বরাবরই কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেছে। এখন প্রশ্ন হলো এই উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় কি সরাসরি সংঘর্ষের দিকে এগিয়ে যাবে, নাকি কূটনৈতিক উদ্যোগে তা রোধ করা যাবে? আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর এখন মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিটি পদক্ষেপের দিকে।

IPCS News : Dhaka :