ইন্টারন্যাশনাল ফায়ারফাইটার্স ডে উদযাপন: ফায়ার সার্ভিসকে আস্থার প্রতীক হিসেবে অভিহিত করলেন মহাপরিচালক
আপডেটঃ ১২:৩৮ অপরাহ্ণ | মে ০৭, ২০২৫
নিউজ ডেস্কঃ
ঢাকা:- আজ সকালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সদর দপ্তরে উদযাপিত হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ফায়ারফাইটার্স ডে-২০২৫।অনুষ্ঠানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।তিনি তার বক্তব্যে ফায়ার সার্ভিসকে দুর্যোগকালীন প্রথম সাড়া প্রদানকারী এবং জনগণের আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করেন।
মহাপরিচালক তার ভাষণে বলেন, “ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর শুধুমাত্র অগ্নিনির্বাপণ বা উদ্ধার কার্যক্রমে সীমাবদ্ধ নয়, এটি দুর্যোগ মোকাবিলায় জনগণের সবচেয়ে বড় সহযোগী এবং সাহসিকতার প্রতীক হয়ে উঠেছে।যেকোনো বিপদে, দুর্যোগে প্রথমেই যে সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান মানুষের আস্থা অর্জন করে, তা হলো আমাদের ফায়ার সার্ভিস।”অনুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে নির্বাচিত ৪৫ জন ফায়ারফাইটার এবং কর্মকর্তাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।তাদের মধ্যে অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারকাজে বিশেষ পারদর্শিতা ও সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্য পুরস্কৃত হন।পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে একটি সনদপত্র, সম্মাননা ক্রেস্ট এবং নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।এছাড়া, অনুষ্ঠানে এক মিনিট নীরবতা পালন করে ফায়ার সার্ভিসের সারাবিশ্বের সকল শহিদ সদস্যদের শ্রদ্ধা জানানো হয়, বিশেষ করে বাংলাদেশে বিএম কন্টেইনার ডিপো দুর্ঘটনায় শহিদ হওয়া ১৩ অগ্নিবীরসহ ৪৮ জন ফায়ারফাইটারের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।
মহাপরিচালক আরও বলেন, “আমাদের ফায়ারফাইটাররা দগ্ধ ভবনে প্রবেশ করেন, দুর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করেন এবং ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবনের স্পন্দন খুঁজে আনেন।তাদের ত্যাগ ও সাহসিকতা আমাদের সকলের কাছে প্রেরণার উৎস।”অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) জনাব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিদর্শন ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল এম এ আজাদ আনোয়ার এবং অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে, বিশেষ অতিথি হিসেবে ট্রেনিং কমপ্লেক্সের অধ্যক্ষ মোঃ ওহিদুল ইসলাম বক্তব্য প্রদান করেন।তিনি জানান, সম্মাননা প্রদান এমন একটি উদ্যোগ যা ফায়ারফাইটারদের মনোবল বৃদ্ধি করবে এবং তাদের কাজের গতি আরও ত্বরান্বিত করবে।ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ভবিষ্যতে যেকোনো দুর্যোগ ও বিপদ মোকাবিলায় সফল হওয়া সম্ভব হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।তিনি সকলের সহযোগিতা ও সহমর্মিতার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দেন।
এ অনুষ্ঠানটি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অনলাইনে যোগ দেওয়া কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সাফল্যের সাথে সম্পন্ন হয়।বাদ জোহর, ফায়ার সার্ভিসের সকল মসজিদে প্রয়াত ফায়ারফাইটারদের জন্য দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।এ বছরের জন্য, এটি ছিল বাংলাদেশে প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে ইন্টারন্যাশনাল ফায়ারফাইটার্স ডে উদযাপন।
IPCS News : Dhaka :
