বুধবার ৫ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ২০শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

ইতিহাস গড়লেন জোহরান মামদানি: নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম ও দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত মেয়র

আপডেটঃ ১২:৪৮ অপরাহ্ণ | নভেম্বর ০৫, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র— ইতিহাসের নতুন অধ্যায় রচনা করলেন জোহরান মামদানি। প্রথমবারের মতো কোনো মুসলিম ও দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত রাজনীতিক হিসেবে নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার গভীর রাতে ভোট গণনা শেষে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস নিশ্চিত করে তার বিজয়ের খবর।৮৪ লাখেরও বেশি জনসংখ্যার এই বিশ্বনগরীতে মামদানীর জয় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই শহরের নেতৃত্বে এভাবেই প্রথমবার এক দক্ষিণ এশীয়-মুসলিম মুখ উঠে এল।

তবে নাগরিকদের কাছে তার জনপ্রিয়তার কারণ ধর্ম বা জাতিগত পরিচয় নয়— মূল আকর্ষণ ছিল তার নির্বাচনী অঙ্গীকার ‘সাশ্রয়ী জীবনযাপন’। নিজেকে ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী’ হিসেবে পরিচয় দেওয়া মামদানি দীর্ঘদিন ধরেই সাধারণ মানুষের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন।তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো, যিনি এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। কুয়োমো অভিযোগ করেছিলেন, ডেমোক্রেটিক পার্টির ভেতরে এখন সমাজতান্ত্রিক ও মধ্যপন্থী ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে এক ধরনের দ্বন্দ্ব চলছে।শেষ মুহূর্তে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থন কুয়োমোর পক্ষে গেলেও তা প্রত্যাশিত ফল দেয়নি। বরং অনেক পুরনো ভোটারই মামদানীর পক্ষেই ভোট দিয়েছেন।ব্রঙ্কসের এক ভোটার জোশুয়া উইলসন বলেন, “ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের পর রাজনীতি অনেক বেশি মেরুকৃত হয়েছে। কিন্তু মামদানি এই সময়ের মধ্যে এক নতুন, ইতিবাচক কণ্ঠ হিসেবে উঠে এসেছেন।”

মামদানীর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে রয়েছে বিনামূল্যে বাস সেবা, সার্বজনীন শিশু যত্ন, এবং ভাড়ার সীমা নির্ধারণের মতো উদ্যোগ। তিনি জানিয়েছেন, বড় কর্পোরেশন ও ধনীদের ওপর কর বৃদ্ধি করে এসব সামাজিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবেন।বিশ্লেষকরা বলছেন, এখন তার জন্য মূল চ্যালেঞ্জ হবে— একদিকে মধ্যপন্থী ডেমোক্র্যাটদের আস্থা ধরে রাখা, অন্যদিকে প্রগতিশীল সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণ করা।এক নতুন যুগের সূচনা ঘটালেন জোহরান মামদানি— নিউইয়র্কের রাজনীতিতে যা বহুত্ববাদ, প্রগতিশীলতা ও সমতার নতুন প্রতীক হয়ে উঠেছে।

IPCS News : Dhaka :