আওয়ামী লীগের ৮২ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার, গাজীপুরে নিরাপত্তা জোরদার
আপডেটঃ ১২:৫৪ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ
গাজীপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ অভিযানে আওয়ামী লীগের ৮২ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান পরিচালিত হয়।গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) জানিয়েছে, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে এই ধরপাকড় চালানো হয়েছে। পুলিশের দাবি, আসন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি ও জননিরাপত্তা রক্ষার্থে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা গেছে, কিছু রাজনৈতিক কর্মী নাশকতার পরিকল্পনা করছে।তাই জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং গাজীপুরের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা অভিযান চালাই।যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে, শুধু তাদেরই আটক করা হয়েছে।”তিনি আরও জানান, “এটি কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে অভিযান নয়।যারা আইন ভঙ্গ করবে বা নাশকতার পরিকল্পনায় জড়িত থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আটককৃতদের মধ্যে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রয়েছেন।তাঁদের মধ্যে ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ের নেতারা ছাড়াও দলীয় সমর্থকেরাও রয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “আটককৃতদের মধ্যে অনেকেই দলীয় রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে কোনো নাশকতার অভিযোগ নেই। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা এই অভিযানকে ‘রাজনৈতিক হয়রানি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতা বলেন, “আমাদের নিরীহ নেতাকর্মীদের বিনা কারণে গ্রেপ্তার করে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে।এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপ।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই, যেন নিরপরাধ নেতাকর্মীদের দ্রুত মুক্তি দেওয়া হয়।অন্যথায় দলীয়ভাবে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”গাজীপুরের সাধারণ মানুষ এই অভিযানের ব্যাপারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কেউ কেউ মনে করছেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।অন্যদিকে, অনেকেই বলছেন, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযান এবং নিরীহ মানুষকেও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, আটককৃতদের যাচাই-বাছাই করা হবে।নিরপরাধ ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়া হতে পারে, তবে যাদের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এ ঘটনায় গাজীপুর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয়ভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে দলীয় হাইকমান্ডকে বিষয়টি অবহিত করেছে।দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তারা এই বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে।