সোমবার ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

রাজশাহীতে ফুটপাত-সড়ক-ড্রেন দখলের হিড়িক

আপডেটঃ ৯:৪২ অপরাহ্ণ | মে ০৮, ২০২৪

নিউজ ডেস্কঃ

রাজশাহী:- রাজশাহী মহানগরীতে ফুটপাত, সড়ক, ড্রেন দখলের হিড়িক পড়েছে।স্থানীয় রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকেই বেপরোয়া হয়েছে একদল দখলদার।দখল বাণিজ্যে প্রতিমাসে প্রায় কোটি টাকা চাঁদাবাজি হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।তবে সিটি মেয়র বলছেন, দখলদারদের তালিকা করে অভিযান চালানো হবে।জানা গেছে যারা এসব দোকান পরিচালনা করেন তাদের ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা অগ্রিম ও প্রতি মাসে গুণতে হয় ২ থেকে ৩ হাজার টাকা।নগরীরর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট তালাইমারি, সাহেব বাজার জিরেপয়েন্ট থেকে মনিচত্বর, লক্সপুর মোড়, শিরোইল বাস টার্মিনা এলাকার ফুটপাত দখলের হিড়িক।নগরীর ব্যাস্ততম এলাকা থেকে ওলিগলির রাস্তা সব ফুটপাতও দখলদারদের দখলে।এছাড়া ভদ্রা মোড়থেকে ঘোরাচত্বর গ্রেটার রোডের দু’পাশের ফুটপাতে গড়ে উঠেছে স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকান পাট।

এসব দোকান গুলো যে অবৈধ তা প্রতিবেদকের কাছে অকপটে স্বীকারও করেন তারা।আমিনুল নামে এক দোকানদার বলেন, জানি ফুটপাত দখল করে দোকান বানানো অবৈধ কিন্তু কী করব ? পেটের দায়ে এই ফুটপাতে দোকান দিয়েছি।যখন চলে যেতে বলবে আমরা চলে যাব।রফিক নামে আরেক দোকানদার বলেন, ভাইরে পেটের দায়ে দোকান দিয়েছি।

এই দোকান দিয়ে সংসার চলে।স্থানীয় কাউন্সিলদের দাবি, দখলদারদের পেছনে প্রভাবশালী মহলের হাত থাকায় অনেক সময় চাইলেও কিছু করতে পারেন না তারা।স্থানীয়রা বলছেন, ফুটপাতে যারা দোকানদারি করে তাদের ইন্ধন দিচ্ছে একটি শক্তিশালী চক্র।তারা এসব দোকান থেকে চাঁদাবাজি করে এটা সবার জানা।অনেক সময় এদেরকে উচ্ছেদ করতে চাইলেই করা যায় না।

রাজশাহী রক্ষা সংগ্রামের সাধারন সম্পাদক জামাত খাঁন বলেন, ফুটপাত নাগরিকদের চলাচলের একটি জায়গা।সেখানে যারা অবৈধ দোকান করে ব্যবসা করছে এবং সেই ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা নিচ্ছে তাদের দ্রুত চিহ্নিত করা উচিত।এদের চিহ্নিত করা না হলে আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়বে।পুলিশ বলছে, ফুটপাত দখল থাকায় নগরী জুড়ে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।

সিটি মেয়র হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছেন, দখলদারদের তালিকা করে নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোঃ জামিরুল ইসলাম  বলেন, ফুটপাত দখলের কারণে প্রতিনিয়ত নগরীতে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করে তাদেরকে উচ্ছেদ করা হবে।

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, যারা ফুটপাত দখল করেছে এরই মধ্যে তাদের তালিকা প্রস্তুতির কাজ চলছে।এসব জায়গায় যারা চাঁদাবাজি করছে তাদেরকেও চিহ্নিত করে তালিকার আওতায় আনা হচ্ছে।দ্রুতই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সিটি করপোরেশনের তথ্য মতে, বরিশাল নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার দখলদার রয়েছে।দখলকৃত এসব জায়গায় গড়ে তোলা দোকান থেকে অবৈধ পন্থায় প্রতি মাসে প্রায় কোটি টাকা চাঁদা তোলা হয়।

IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ : রাাজশাহী।