শনিবার ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

৭ শতাধিক গাড়ি দৌলতদিয়া ঘাটে, ফেরি পারাপারের অপেক্ষায়

আপডেটঃ ১২:৫৯ অপরাহ্ণ | আগস্ট ১১, ২০২১

নিউজ ডেস্কঃ

সরকার সাধারণ মানুষের জীবন-জীবীকার কথা বিবেচনা করে, চলমান কঠোর লকডাউন তুলে নিয়েছে।আজ প্রথম দিনে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে শত শত যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।প্রায় ৭ শতাধিক যানবাহনের দীর্ঘ লাইন ফেরি পারের অপেক্ষায়।বেড়েছে যানবাহনের চালক-সহকারি ও যাত্রীদের ভোগান্তি।ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়,অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ,ফেরি স্বল্পতা,ও পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে এই ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে।তবে লঞ্চ চালু থাকায় অনেক যাত্রী বাস থেকে নেমে লঞ্চে পাটুরিয়া যাচ্ছেন।সরেজমিনে দেখা যায়,প্রায় ৩০০ যানবাহনের দীর্ঘ সারি, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে বাংলাদেশ হ্যাচারিজ পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকায়।দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করছে এসব যানবাহন।

এ ছাড়া দৌলতদিয়া থেকে ১৩.৫ কিলোমিটার দূরে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গোয়ালন্দ মোড় থেকে আহ্লাদিপুর জুট মিল পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ৪০০ পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে।এই যানজটের কারণ হিসেবে জানা যায়,শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকায় দৌলতিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে চাপ বেড়েছে।

যাত্রীদের মাঝে অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, আগামীকাল থেকে তাদের অফিস খোলা থাকবে।ঈদের আগে লকডাউন শিথিলের সময় গ্রামের বাড়ি গেলেও দীর্ঘ লকডাউনে অফিস বন্ধ থাকায় ঢাকায় ফেরেননি।অফিস খোলবে তাই তাদের ঢাকা ফিরতে হচ্ছে।একজন ট্রাক চালক বলেন, রাত একটার দিকে ফেরিঘাটে আসলেও এখনো উঠতে পারিনি।

লকডাউন ছুটে যাওয়ায় ট্রাকের সঙ্গে বাসও পারপার হচ্ছে।নদীতে স্রোত বেশি থাকায় ফেরি পারাপার হতে সময় লাগছে।এই নৌপথে ফেরি সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন।বিআইডাব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো.শিহাব উদ্দিন বলেন,আজ থেকে আমাদের ১৫টি ফেরি চলাচল করছে।পদ্মায় তীব্র স্রোত থাকায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

তাই যাত্রীদের অনেকটা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এমএম শাকিলুজ্জামান বলেন,দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।প্রতিটি গাড়ি সিরিয়ালে ফেরিতে উঠবে।সেই নির্দেশনা মোতাবেক দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।

IPCS News/রির্পোট।dhaka.