শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

সরকারি চাকরি প্রার্থীরা ২১ মাস চাকরিতে বয়সে ছাড় পাচ্ছেন

আপডেটঃ ১২:২৫ অপরাহ্ণ | আগস্ট ০৯, ২০২১

নিউজ ডেস্কঃ

সরকারি-বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রে জনবল চাহিদা থাকলেও করোনার কারণে প্রায় পাঁচ/ছয় মাস নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়নি।চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া সব বন্ধ ছিল।চলমান সময়ে কিছু কিছু চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হচ্ছে,যা চাকরি প্রত্যাশীদের মনে একটু আশার সৃষ্টি করছে।চাকরিপ্রার্থীদের বয়সে ছাড়ের বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেছেন, যে সময় থেকে চাকরির বিজ্ঞপ্তিগুলো হওয়ার কথা কিংবা পরীক্ষা নেওয়ার কথা সেই সময় থেকে কয়েক মাস বয়সে ছাড় পাবেন চাকরিপ্রার্থীরা।সরকারি চাকরিতে আবেদন করার সময় প্রার্থীর বয়সে পাঁচ মাস ছাড় দিয়েছে সরকার।অর্থাৎ চলতি ২০২০ সালের ২৫ মার্চ যাদের বয়স ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছে তারা পরবর্তী আরও পাঁচ মাস সরকারি চাকরির আবেদন করতে পারবেন।করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণেই সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনার কারণে বন্ধের মধ্যে মন্ত্রণালয়,বিভাগ কিংবা সংস্থা চাকরির জন্য বিজ্ঞপ্তি দিতে পারেনি।

অনেকের চাকরির বয়স এই সময়ের মধ্যে চলে গেছে।সেক্ষেত্রে তারা পাঁচ মাসের বয়সের একটা ছাড় পাবেন।আগস্ট পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তিগুলোতে আবেদন করতে পারবেন তারা।’উল্লেখ্য, বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২।বেসরকারি কিছু প্রতিষ্ঠানে যদিও কর্মী ছাঁটাই চলেছে, তারপরও অনেক প্রতিষ্ঠান চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রদানের কাজ শুরু করছে।

আরও বেশ কিছু চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অপেক্ষায়।আস্তে আস্তে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও অতীতের চেয়ে তা এখনও ১০-২০ শতাংশ কম।সরকারি সাড়ে চার লাখ শূন্য পদে শিগগিরই নিয়োগ দেওয়া হবে বলে শুনতে পাচ্ছি।করোনার কারণে বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত হওয়ায় সরকারি প্রতিষ্ঠানের শূন্য পদগুলো পূরণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন সরকার প্রধান।

সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয়,দপ্তরগুলো নির্দেশনা পাওয়ার পর ইতোমধ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু করেছে।সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার দাবিতে অনেক দিন ধরে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা দাবি জানিয়ে আসছে।চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীতকরণের দাবিতে তাদের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে এর যৌক্তিকতা তুলে ধরে।

ওই সময় আমাদের অনেক নেতা বলেছেন, তাদের দাবিগুলো যৌক্তিক এবং চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি দ্রুত সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়ন করা হবে।এমনকি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ রয়েছে।

তাই করোনাকালীন সময়কে ট্রানজিশন পিরিয়ড হিসেবে চিন্তা করে সরকারি চাকরির আবেদনের বয়স ৩৫ করা হোক।তবে চাকরিতে আবেদনের বয়স বৃদ্ধি করা হলেও অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা যাবে না।কারণ অবসরের বয়স বৃদ্ধি করা হলে ভবিষ্যতে বেকারত্বের হার বেড়ে যেতে পারে।

সর্বশেষ ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে শুধু অবসরের বয়স ৫৭ থেকে বাড়িয়ে সাধারণের জন্য ৫৯ বছর আর মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৬০ বছর করা হয়।এ ক্ষেত্রে কোনো দাবি-দাওয়া ছিল না।

উল্লেখ্য, বিশ্বের অনেক দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৫৫, কোথাও ৫৯ বছর পর্যন্ত রয়েছে।ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০,শ্রীলঙ্কায় ৪৫,ইন্দোনেশিয়ায় ৩৫,ইতালিতে ৩৫,ফ্রান্সে ৪০।

IPCS News/রির্পোট।dhaka ।