সমান কাজ করেও আদিবাসী নারী শ্রমিকরা মজুরি বৈষম্যের শিকার
আপডেটঃ ৯:৩২ অপরাহ্ণ | আগস্ট ০৪, ২০২১
নিউজ ডেস্কঃ
আদিবাসী নারীদেরকে কৃষি শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানসহ নায্য মজুরি নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবী হয়ে দাড়িয়েছে।আদিবাসি নারীরা গৃহস্থালী কাজের বাহিরেও কৃষিসহ নানামুখী কাজে অগ্রনী ভূমিকা রাখছেন।বিশেষ করে কৃষি কাজে আদিবাসী নারীদের অবদান গুরুত্বপূর্ণ।জেলার বরেন্দ্র অঞ্চল মোহনপুর,তানোর,গোদাগাড়ী,নাচোল,নিয়ামতপুর,ধামইরহাট,গোমস্তাপুর এবং মহাদেবপুর উপজেলায় কৃষি কাজে আদিবাসী নারীরা বেশি অগ্রণী ভূমিকা রাখেন।এই সকল আদিবাসি নারীরা অন্যের জমিতে কৃষি শ্রমিক হিসেবে কাজ করে থাকেন।এছাড়া বিভিন্ন নির্মাণ কাজে এই নারীরা পুরুষের সমান কাজ করলেও মজুরি বৈষম্যের শিকার তাঁরা।আদিবাসী নারী শ্রমিকরা বলেন, আদিকাল হতে বংশ পরম্পরায় আমরা কৃষি, নির্মাণ শ্রমিকসহ নানা কাজ পুরুষদের সমপরিমাণ করে আসছি।
তবে,কৃষিকাজই তাদের প্রধান পেশা হিসেবে যুগ যুগ ধরে চলে আসছে।আমরা কৃষি উন্নয়নে অবদান ও ভালো কাজ করলেও পুরুষদের তুলনায় আমাদেরকে কম মজুরি দেয়া হয়।একজন আদিবাসি পুরুষ শ্রমিক পান ৫০০ টাকা।নারী শ্রমিকরা পান ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা।রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌরসভার রায়ঘাটি আদিবাসী পাড়ার নারী শ্রমিক ভারতী রানী বলেন, আমরা জমিচাষ,ধান লাগানো, আগাছা পরিস্কার, ধান কাটা মাড়াই সকল কাজ পুরুষদের সমান করলেও মজুরি কম দেয়া হয়।
মোহনপুর উপজেলার জামতলা আদিবাসিপাড়ার নারী শ্রমিক মায়া রানী জানান,পুরুষের পাশাপাশি ধান কাটা মাড়াইসহ বিভিন্ন কৃষি কাজ দীর্ঘদিন ধরে করে আসছি।কিন্তু মজুরি দেয়ার সময় আমরা নারী বলে বৈষম্য করা হয়।জাতীয় আদিবাসী পরিষদ গোদাগাড়ী উপজেলা শাখার সভাপতি নন্দলাল টুডু জানান,বরেন্দ্র অঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় আদিবাসি নারীরা পুরুষ শ্রমিকের সাথে সমান তালে কাজ করলেও মজুরির বেলায় প্রতিনিয়ত বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রায় ১২ হাজারের বেশি আদিবাসি নারী শ্রমিক কৃষি কাজের সাথে জড়িত রয়েছেন।আদিবাসি নারী নেত্রী সুষ্মিতা টুডু বলেন, এলাকার আদিবাসি নারী শ্রমিকরা কৃষিকাজে অভাবনীয় সাফল্য এনেছেন।সম্মিলিত আদিবাসী নারী জোটের সভাপতি কল্পনা তির্কী বলেন, কৃষি কাজে আদিবাসী নারী শ্রমিকদের অবদান বেশি রয়েছে।অথচ তারা নায্য মুজুরি থেকে বঞ্চিত।তিনি আদিবাসী নারীদেরকে কৃষি শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানসহ নায্য মজুরি নিশ্চিত করার দাবী জানান।
IPCS News/রির্পোট।আবুল কালাম আজাদ,রাজশাহী