বৃহস্পতিবার ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাশিয়ার সহযোগিতা চাইলেন

আপডেটঃ ৩:৫১ অপরাহ্ণ | জুলাই ১৭, ২০২১

নিউজ ডেস্কঃ

আজ ১৭ জুলাই শনিবার উজবেকিস্তানের তাসখন্দে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে এক বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাশিয়ার সহযোগিতা কামনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।কঠিন সময়ে বাংলাদেশের পাশে থাকার জন্য তিনি রাশিয়াকে ধন্যবাদ জানান।রাশিয়ার তাসখন্দে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।এতে বাংলাদেশর পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন নেতৃত্ব দেন।আর রাশিয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ।রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৩ ও ২০২৪ সালে বাংলাদেশে দুটি পরমাণু প্রকল্প সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দেন।দুই মন্ত্রী বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে বিদ্যমান পারস্পরিক সহযোগিতার স্তর নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনকালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের পাঠানো বার্তার জন্য ধন্যবাদ জানান।এসময় করোনার ভ্যাকসিনসহ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন।

ফোরামে জাপান,যুক্তরাষ্ট্র,কানাডা,অস্ট্রেলিয়া,দক্ষিণ কোরিয়া, নিউজিল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করতে মিয়ানমারে অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানান। আসিয়ানভুক্ত অন্যান্য দেশগুলোকেও এই প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।সভায় যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মালয়েশিয়া রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘটিত নৃশংসতার বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের ওপর গুরুত্বারোপ করে।পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে রাশিয়ার সক্রিয় সহযোগিতার জন্য অনুরোধ করলে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান,এ বিষয়ে মিয়ানমারকে বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপে উৎসাহিত করবে তারা।তিনি বলেন,বাংলাদেশ অনির্দিষ্টকালের জন্য রোহিঙ্গাদের ভার বহনের মতো অবস্থায় নেই।এই সমস্যার সমাধান বৈশ্বিক দায়বদ্ধতায় হওয়া উচিত।ফোরামে আব্দুল মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত থাকলে তা পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য চরমভাবে হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।ড. মোমেন উত্তর রাখাইনে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ও সেখানে তাদের জন্য বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশেষ করে আসিয়ানের সার্বিক ভূমিকা কামনা করেন।

 IPCS News/রির্পোট।