শুক্রবার ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

নিহত দুই শতাধিক বিক্ষোভে উত্তাল দক্ষিণ আফ্রিকা

আপডেটঃ ২:৪৩ অপরাহ্ণ | জুলাই ১৭, ২০২১

নিউজ ডেস্কঃ

তুরস্কভিত্তিক গণমাধ্যম আনাদোলু জানায়, সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমাকে জেলে পাঠানোকে ঘিরে দক্ষিণ আফ্রিকায় চলমান সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১২ জনে দাঁড়িয়েছে।এরমধ্যে পদদলিত হয়ে মারা গেছে ১০জন।২৯ জুন জুমাকে ১৫ মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।৭৯ বছর বয়সি জুমার বিরুদ্ধে চলমান দুর্নীতির তদন্তকারীদের তথ্যপ্রমাণ দিয়ে সহযোগিতা না করায় তাকে এ দণ্ড দেওয়া হয়।এদিকে বিক্ষোভের জেরে অন্তত দুই হাজার ৫৫৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার কারাদন্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মোকাবিলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করে সরকার।বিক্ষোভের মধ্যেই জুমার সমর্থকদের দোকানে লুটসহ অগ্নিসংযোগ করা হয়।একই দিন শীর্ষ আদালতে কারাদন্ড চ্যালেঞ্জ করেছেন জুমা।বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,দুর্নীতি মামলার তদন্তের সময় আদালত অবমাননার দায়ে ১৫ মাসের কারাদন্ড পাওয়ার পর গত সপ্তাহে পুলিশের কাছে ধরা দেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা।এর পরই বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁর সমর্থকরা।এ বিক্ষোভে অন্তত ৩০ জন নিহত হন।গ্রেফতার করা হয়েছে ২শতাধিক।

সোমবার জ্যাকব জুমার নিজ প্রদেশ কাওয়াজুলু নাটালের পিয়েটারমার্টিজবার্গ শহরের একটি শপিং সেন্টারে আগুন ধরিয়ে দেন তার সমর্থকরা।বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে পুলিশের বিরুদ্ধে পাল্টা গুলিবর্ষণ করেন বিক্ষোভকারীরা।এ ছাড়া সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে গাউতেং প্রদেশের জোহানেসবার্গ শহরেও।রবিবার লাঠিসোঁটাসহ সেখানে বিক্ষোভ করেন জুমা সমর্থকরা।নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কয়েকটি করোনা টিকাদান কেন্দ্র।দক্ষিণ আফ্রিকার সেনাবাহিনী জানিয়েছে,দুটি প্রদেশে কয়েক দিনে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ নিরসনে পুলিশকে সহায়তাদানে সেনা সদস্যদের নামানো হয়েছে।সবাইকে শান্ত থাকার আহ্‌বান জানিয়ে প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বলেছেন, কোনো কিছু দিয়েই সহিংসতার ন্যায্যতা প্রমাণ করা যায় না।

পুলিশ বলছে,যেভাবে লুটপাট চলছে তা আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকলে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যের সংকট দেখা দিতে পারে।তবে পরিস্থিতি এখনো তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নসিভিওয়ে মাপিসা-নাকাকুলা।তিনি বলেন, জরুরি অবস্থা জারির মতো অবস্থায় যায়নি দেশ।এদিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বলেছেন,১৯৯০ সালের পর এমন ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতি দেশটিতে দেখা যায়নি।তিনি বলেন,মারাত্মক সহিংসতা দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য দুটিকে আঁকড়ে ধরেছে।আদালত অবমাননার দায়ে ৮ জুলাই থেকে জুমার কারাজীবন শুরু হয়।প্রথমে তিনি আত্মসমর্পণে অস্বীকৃতি জানালে গ্রেফতারের সময়সীমা বেঁধে দেন দেশটির সাংবিধানিক আদালত।পরে অবশ্য জুমা ফাউন্ডেশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়,সাবেক প্রেসিডেন্ট আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

 IPCS News/রির্পোট।