বরিশালের উজিরপুর থানার ওসি এবং এসআই প্রত্যাহার
আপডেটঃ ৩:৪১ অপরাহ্ণ | জুলাই ০৭, ২০২১
নিউজ ডেস্কঃ
বরিশালের উজিরপুর থানার ওসি জিয়াউল আহসান এবং এসআই মাঈনুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।রিমান্ডের নারী আসামিকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠার দু’দিন পর সোমবার তাদের বিরুদ্ধে এই অ্যাকশন নেওয়া হয়।পুলিশ গত ১জুলাই হত্যা মামলার এই নারী আসামিকে বরিশালের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই দিনের রিমান্ড শেষে হাজির করে।নারী আসামির আইনজীবী মজিবর রহমান বলেন,সে সময় তিনি আদালতের সামনে খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাঁটছিলেন।ম্যাজিস্ট্রেট তার কাছে জানতে চান তার উপর কোনো নির্যাতন করা হয়েছে কিনা।উত্তরে তার যৌনাঙ্গে আঘাত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
নারী আসামির আইনজীবী বলেন,জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাকে শারীরিক এবং গোপনীয় জায়গায় নির্যাতন করেছে।যখন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে আনা হয় ,তাকে খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাঁটতে দেখ ম্যাজিস্ট্রেট জিজ্ঞেস করেন আপনাকে কি মারধর বা নির্যাতন করেছে ? নারী আসামি উত্তর দেন- জী।এরপর ম্যাজিস্ট্রেট একজন নারী কনস্টেবলকে সাথে নিয়ে খাসকামরায় পরীক্ষা করে দেখেন গোপনীয় জায়গাসহ তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতের চিহ্ন ।উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউল হক এই অভিযোগ নাকচ করে বলেন, এই ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
তিনি জানান এ বিষয়ে একটি বিভাগীয় তদন্ত হচ্ছে।সরকার পক্ষের আইনজীবী মো. জাহাঙ্গীর এই ঘটনার ভিন্ন বর্ণনা দিয়ে বলেন, মূল অভিযোগ থেকে দৃষ্টি সরানোর জন্য এখন এই ধরনের অভিযোগ করা হচ্ছে।তিনি বলেন,যখন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা হয় তখন সে কিছু বলেনি।ম্যাজিস্ট্রেট যখন জিজ্ঞাসাবাদ করে তখনও কিছু বলেনি।কিন্তু পরে জেল হাজতে যাওয়ার সময়ে গাড়ির মধ্যে অজ্ঞান হয়ে যায়।””হাসপাতালে সে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বিবৃতি দিয়ে বলে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে।আসলে পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য এখন এই অভিযোগ করা হচ্ছে।এদিকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ওই নারীর শারীরিক পরীক্ষা শেষে একটা প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
IPCS News/রির্পোট।