শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

রাজশাহীতে বেড়েছে সবজি ও গরুর মাংসের, স্থিতিশীল মুদিপণ্যের

আপডেটঃ ১:৪৯ অপরাহ্ণ | মে ২২, ২০২১

নিউজ ডেস্কঃ

রাজশাহী মহানগরীর বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সবজির,মাছ ও গরুর মাংসের দাম।তবে স্থিতিশীল রয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় মুদিসামগ্রী ও মুরগির দাম।বিক্রেতারা জানান, ইদের পর ব্রয়লার মুরগি দাম কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা কমেছে।ইদের আগে সবজির দাম কম ছিলো।তবে গত কয়েক দিন থেকে কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে সবজির দাম।মৌসুমী নতুন কিছু সবজি বাজারে উঠলেও দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে।নতুন সবজির মাধ্যে কাকরোল কেজি ৬০ টাকা ,নতুন কচু কেজি ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।এ ছাড়া বাজারে সবজির আমদানি কম থাকায় কয়েকটি সবজির দাম বেড়েছে। আর চাহিদা বেশি থাকায় গরুর মাংসের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা।
২২ মে শনিবার নগরীর সাহেব বাজার, শিরোইল কাঁচা বাজার, সাগর পাড়া কাঁচা বাজার,  তালাইমারি কাঁচাবাজার ,মতিহার কাঁচাবাজার , শিরোইল কলোনী বউবাজার ,টিকাপাড়া বউবাজার ঘুরে  দেখা যায়, ইদের আগে কাঁচা সবজির দামে বেশি থাকলেও, ঈদের পর থেকে কিছুটা দাম কমেছে ।চাল ,বাল, ভোজ্য তেল ব্যবসায়িরা জানান, মুদি পণ্যের দাম এখন কিছুটা কমেছে।কারণ  হিসাবে ব্যবসায়ীরা জানান ইতিমধ্যে নতুন চাল বাজারে আমদানি হয়েছে এতে দাম কম। ইদের আগে পেঁয়াজের দাম বাড়তি থাকায় ইদ পরে থেকে পেঁয়াজ ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা খুচরা দরে বিক্রি হচ্ছে।তবে ইদের পর থেকে ক্রেতা কম বলে জানান বিক্রেতা।

আলু প্রতিকেজি ১৫ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচু ৬০ টাকা, বেগুন ২০ টাকা, পটল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, ঢেড়স ২০ থেকে ২৫ টাকা, করলা ৩০ টাকা, বরবটি ২০ থেকে ৩০ টাকা, ধনেপাতা ১০ টাকা আটি।সজনে ডাটা ৪০ টাকা কেজি, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, গাজর ১৫ থেকে ৩০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, ডুমুর ৩০ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ২০ থেকে ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ১৫ থেকে ২০ টাকা, লাউ ২৫ থেকে ৩০ টাকা পিস, কাঁচাকলা ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা হালি, কচুর লতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, ঝিঙ্গা ২০ থেকে ২৫ টাকা।শাকের মধ্যে- প্রতি আটি লাল শাক, সবুজ শাক ও কাঠুয়া শাক বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা।পেঁয়াজ ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা, রসুন ৪০ থেকে ৬০ টাকা, আদা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা।

রাজশাহীর সাহেববাজার মুদির দোকান ঘুরে দেখা যায়, প্যাকেটজাত সয়াবিন লিটার প্রতি ১৩৫ থেকে ১৩৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ৫ লিটার সয়াবিন তেল ৬৫০ থেকে ৬৬০ টাকায় বিক্রি।খোলা সয়াবিন ১২৪ টাকা। পামওয়েল তেল লিটারে বিক্রি হচ্ছে ১১২ টাকা থেকে ১১৮ টাকা।ডালের মধ্যে- বিভিন্ন জাতের মসুরের ডাল ৭৫ থেকে ১০০ টাকা, মুগের ডাল ১৩০ টাকা, কালায়ের ডাল ১২০ টাকা, বুটের ডাল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, মটর ৪২ থেকে ৪৫ টাকা, এংকার ডাল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, খেসারি ৬৮ টাকা ও চিনি ৬৮ টাকান দরে বিক্রি হচ্ছে।অপরদিকে, প্রতিকেজি আটাশ চাল ৫২ টাকা এবং মিনিকেট ৬০ টাকা। এছাড়া গুটি স্বর্ণা ৪৫ টাকা, সুমন স্বর্ণা ৪২টাকা, চিনিগুড়া চাল ৯৫ থেকে ১০০ টাকা, বাসমতি ও নাজিশাল ৭০ টাকা, কালোজিরা ৬৫, রাধুনি ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের মধ্যে গরুর মাংস ৫৭০ টাকা, খাসির মাংস ৮৩০ থেকে ৮৫০ টাকা।ব্রয়লার মুরগি ১৩০-১৪০টাকা, সেনালি ২২০ টাকা, দেশি মুরগি ৪৪০ টাকা, এছাড়া রাজহাঁস ৪৪০ টাকা ও পাতিহাঁস ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি ইলিশ মাছ ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৬৫০ থেকে ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।এছাড়া রুই মাছ ওজন ভিত্তিতে প্রতিকেজি ১৪০ থেকে ২২০ টাকা, সোল ৪০০ টাকা, কাতল মাছ ২৬০ থেকে ৩৫০ টাকা, মিরগেল ১২০টাকা, অইড় মাছ ১২০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা, টাকি ৩০০ টাকা, ময়া মাছ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা মাছ ৩০০ টাকা, আইখোর ১৫০ টাকা, ময়া ৪০০ টাকা, বোয়াল ৪০০, সিং মাছ ৪০০ টাকা, সিলভর মাছ ১৫০ টাকা, পিউলি ৩০০ টাকা, গড়ই ৩০০, মাগুর ৫০০ টাকা, মিরকা মাছ ১২০ টাকা থেকে ২০০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।মাছ ব্যবসায়ী আমজাদ জানান, মাছের দাম বেড়েছে।কারন তেমন ভাবে মাছের আমদানি কম।রোদে নদীর পানি সুকিয়ে যাওয়ায় মাছের আমদানি কম।আসছে বর্ষায় হয়তো এই সমস্যা হবেনা।

IPCS News/রির্পোট, আবুল কালাম আজাদ।