শুক্রবার ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

শবে বরাতের আগেই বেড়েছে চিনি, তেল মাংসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম

আপডেটঃ ৪:২৮ অপরাহ্ণ | মার্চ ২১, ২০২১

নিউজ ডেস্কঃ

শবে বরাতের আগেই রাজশাহীর বাজারে চিনি, তেল ও মাংসের দাম বেড়েছে।তবে গত সপ্তাহে দুই দফা বাড়লেও চলতি সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে।সপ্তাহের ব্যবধানে নগরীর বাজারগুলোতে কেজিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১০ টাকা।অন্যান্য সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।আলু কেজিতে ৩ টাকা বেড়েছে।কিছু সবজির দাম বাড়তি আবার কিছু সবজির দাম কমেছে।সপ্তাহের ব্যবধানে সজনের দাম কেজিতে কমেছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা পর্যন্ত।এদিকে কেজিতে ৩ টাকা বেড়ে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৬৮ টাকায়।

পাইকারি ৭০ টাকা, খুচরা ৭২টাকা।ব্রয়লার মুরগি ১৫৫ টাকা থেকে ১৬০ টাকা।বাজারে প্রতিকেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা থেকে ১৩২ টাকা। পামওয়েল তেল লিটারে বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা থেকে ১১৭ টাকা এবং প্যাকেটজাত সয়াবিন তেল কেজিপ্রতি ১২৮ টাকা থেকে ১৩০ টাকা। প্যাকেটজাত পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল ৬২০ টাকা।শনিবার (২০ মার্চ) নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজের কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।

গত সপ্তাহে দুই দফা দাম বেড়ে পেঁয়াজের কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা হয়েছিল।আর আলুর দাম গত সপ্তাহে ছিল ১৮ টাকা যা চলতি সপ্তাহে ২০ থেকে ২২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।পেঁয়াজের দাম কমার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, পেঁয়াজের একটু দাম বাড়ায় গত সপ্তাহে কিছু ক্রেতা বাড়তি কিনে মজুদ করেছেন।এতে পেঁয়াজের টান বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়ে গিয়েছিল।এখন দাম কমলেও বিক্রি কম হচ্ছে।এবার পেঁয়াজের দাম বাড়ার সম্ভাবনা কম।কিছুদিন পর ভালো মানের নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসবে।

তখন পেঁয়াজের দাম আরও কমে যাবে।সুতরাং এবার রোজার মধ্যে পেঁয়াজের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।মুদি দোকানদারা বলছে, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম শবে বরাত আসার ১০ দিন আগে থেকেই ভোজ্যতেল, মাংস, চিনির দাম বেড়েছে।সামনে রোজা আসছে।তবে দাম বাড়বে কী কমবে তা বোলা যাচ্ছে না।

অপরদিকে চালের দোকান ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি আটাশ চাল ৫৬ টাকা থেকে ৫৮ টাকা এবং মিনিকেট চাল ৬২ টাকা থেকে ৬৫ টাকা।এছাড়া গুটি স্বর্ণা ৪৬ টাকা থেকে ৪৮ টাকা, চিনিগুড়া চাল ৮৫ টাকা থেকে ৯০ টাকা, বাসমতি চাল ও নাজিশাল চাল ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।ডালের মধ্যে মসুরের ডাল ৭০ টাকা থেকে ১০০ টাকা, মুগের ডাল ১৩০ টাকা, কালাই ডাল ১২০ টাকা, বুটের ডাল ৭৫ টাকা থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।ক্রেতা রায়হান বলেন, দাম বাড়ায় গত সপ্তাহে ৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছিলাম।কিন্তু হঠাৎ করেই পেঁয়াজের দাম আবারও কমে গেছে।৪৫ টাকা কেজি কেনা পেঁয়াজ এখন ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।সবজি ব্যবসায়ীরা বলছে,

এদিকে গত সপ্তাহে বাজারে নতুন আসা সজনের ডাটার কেজি ১২০ থেকে ১৬০ টাকা।যা এখন ১০০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে হচ্ছে।আজ কম দামে কিনতে পারায় ১০০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। কয়েকদিনের মধ্যে সজনের ডাটার দাম আরও কমে যাবে। সজনে ডাটার পাশাপাশি কিছুটা দাম কমেছে পটল ও ঢেঁড়সের। গত কয়েক সপ্তাহে থেকে পটল ও ঢেঁড়সের দাম কিছুটা কমে এখন ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।একই দামে বিক্রি হচ্ছে বরবটি।এ সবজিগুলোই এখন বাজারের সব থেকে দামি।নগরীর সবজি বাজারে প্রতি কেজি আলু ২০ টাকা, ঢেরস ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, পটল ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা, করলা ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা। এছাড়া পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, রসুন ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, আদা ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, বেগুন ১৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা, শীম ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা, গাজর ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা, টমেটো ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা, শশা ২০ থেকে ২৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা, কাঁচামরিচ ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা, বাধাঁ কপি ১০ টাকা, মটরশুটি ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা, ডুমুর ৩০ থেকে ৩৫ টাকা প্রতিপিচ লাউ ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা, ফুলকপি ১০ টাকা থেকে ২০ এবং কাঁচা কলা ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শাকের মধ্যে প্রতি আটি লাল শাক, সবুজ শাক ও পালং শাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা এবং ধনে পাতা ৫ টাকা করে।মাংসের মধ্যে গরুর মাংস ৫৫০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ টাকা।ব্রয়লার মুরগি ১৫৫ টাকা থেকে ১৬০ টাকা, দেশি মুরগি ৩০০ টাকা থেকে ৩৩০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৪০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা, লেয়ার মুরগি ১৯০ টাকা থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, রাজহাঁস ৪৫০ টাকা ও পাতিহাঁস ২৭৫ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।অন্যদিকে মাছ মাংসের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি ইলিশ মাছ ৩০০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।এছাড়া রুই মাছ ১৪০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা, কাতল মাছ ১৮০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা, মিরকা মাছ ১২০ টাকা থেকে ২০০ টাকা, পাঙ্গাস মাছ ৮০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৩০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা, কৈ মাছ ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা, শৈল মাছ ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

IPCS News/রির্পোট, আবুল কালাম আজাদ।