ঝাল-মুড়ি বিক্রি করে স্বাবলম্বী কৃষ্ণপুরের হৃদয়
আপডেটঃ ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১
নিউজ ডেস্কঃ
ঝাল মুড়ি বিক্রি করে স্বাবলম্বী কৃষ্ণপুরের হৃদয়।চার সদস্য নিয়ে এখন তার সুখের সংসার।দিন দিন তার জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে।গ্রাম বা শহরের বিভিন্ন প্রান্তর থেকে অনেকেই ঝাল মুড়ি খেতে ও কিনতে ভিড় করছে প্রতিনিয়ত হৃদয় মিয়ার দোকানে।চারদিকে মানুষ আর মানুষ।হই চই, আড্ডা, গান চলছে, সবার মুখে হৃদয় ভাইয়ের কথা।তাইতো হৃদয়ের দোকানের নাম দিয়েছে ভাই ভাই ঝাল মুড়ির দোকান।ভাই ভাই ঝাল মুড়ির দোকানে প্রতিদিন দুপর থেকে চলে আড্ডা,গান, আনন্দঘন মুহুর্তে ভেসে উঠে ঝাল মুড়ি খেতে আসা ঝাল-মুড়ি প্রেমিরা।আর এই দিকে পথের অপেক্ষায় রসদ যুগিয়ে যাচ্ছে কৃষ্ণপুরের হৃদয়।হৃদয় কোন ছাত্র বা শিক্ষক নন।
তিনি হলেন একজন ঝাল-মুড়ি বিক্রেতা।তার সাথে কথা বলে জানাযায় তিনি একজন শ্রমজীবি মানুষ।জীবন যুদ্ধে হার না মানা একজন এক যুবক।তার মনের মাধূরি দিয়ে চানাচুর,মুড়ি,কাঁচা মরিচ,পেঁয়াজ,ছোলা, ক্ষিরা সহ বিভিন্ন রকম মসলা দিয়ে অত্যন্ত মুখরোচকভাবে মুড়ি মাখিয়ে গ্রাহকদের মণ আকৃষ্ট করে চলেছে।ঝালমুড়ি বিক্রি করেই আজ তিনি স্বাবলম্বী।বর্তমানে তিনি কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে চরগোহালবাড়িয়া গ্রামে ক্ষুদ্র একটি বাড়িতে সুখের সংসার গড়েছেন।শত কর্মব্যস্ততার পরও মানুষটির মুখে যেন সার্বক্ষণিক আনন্দের ছাপ।হৃদয় মিয়ার বাড়ি নরসিংদী জেলা মনোহরদী উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চরগোহালবাড়িয়া গ্রামে।পিতা মোঃ সবুজ মিয়া।
হৃদয় মিয়া আর্থিক সংকটের কারণে ২০১৭ সালে চলগোহালবাড়িয়া একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে অষ্টম শ্রেনী পাশ করে জীবন-জীবিকার তাগিদে বাড়ির পাশে একটি দোকানে এ পেশায় নেমে পরেন।২০১৮ সাল থেকে হৃদয় মিয়া তার ছোট ভাই বিজয় কে সাথে নিয়ে ঝালমুড়ি বিক্রি শুরু করেন।সেই থেকে আর তাকে পিছুন ফিরে তাকাতে হয়নি।বর্তমানে তার সংসারে চার জন সদস্য, মা বাবা ছোট সহ হৃদয় মিয়া বেশ সুখেই আছেন তিনি।হৃদয় মিয়া সকাল সন্ধা ভাই ভাই দোকানে ঝাল মুড়ি বিক্রি করে থাকে চার থেকে পাচঁ হাজার টাকা বেচা -কেনা হয়।খরচ বাদে ১হাজার থেকে ১৫ শত টাকা তার লাভ হয়।সেই আয়ের দ্বারা তিনি সংসার চালান।হৃদয় মিয়ার দোকানে অন্যান্ন দিনের চাইতে শুক্রবারে ঝাল মুড়ি প্রেমিদের উপচে পড়া ভিড় পরে।
একদিকে ঝাল মুড়ি তৈরিতে ব্যস্ত হৃদয় মিয়া অন্যদিকে বিজয় মিয়া ব্যস্ত ঝাল মুড়ি বিতরনে।সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো দোকান খোলা থেকেই যেন সিরিয়াল দেওয়া শুরু হয় আর মাল শেষ না হওয়া পর্যন্ত সিরিয়াল থাকে।অনেক সময় দেখা যায় মাল শেষ হয়ে গেছে অথচ দোকানের সামনে অপেক্ষদের সিরিয়াল রয়ে গেছে।তাদেরকে হাসিমুখে বলে ভাই আপনারা কাল আসেন।’এই বিষয়ে হৃদয় মিয়া সাথে কথা হয়।তিনি জানান,আমি যতদিন আছি ততদিন সকলের কাছ থেকে এই ভালোবাসা এবং ভাই ডাক শুনে মনের ভেতরে আনন্দ নিয়ে বেঁচে থাকতে চায়।দিন দিন তার জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে।
সবার প্রিয় ব্যক্তি হৃদয় ভাইয়ের ঝাল-মুড়ি এখনও যাদের খাওয়া হয়নি তারা হয়তো এখন আফসোস করছেন।আর দেরি নয়, একবার হলেও চলে আসুন চরগোহালবাড়িয়া গ্রামে হৃদয় মিয়া ভাই ভাই ঝাল-মুড়ির দোকানে ঝাল-মুড়ি খাওয়ার জন্য।
IPCS News/রির্পোট, মোহাম্মদ মোস্তফা জাকির ( কটিয়াদী) কিশোরঞ্জ প্রতিনিধি।