দুদকের চার্জশিটভূক্ত আরডিএর সহকারী প্রকৌশলী স্বপদে বহাল,তথ্য চেয়েছে মন্ত্রণালয়
আপডেটঃ ১:২৬ অপরাহ্ণ | জানুয়ারি ১২, ২০২১
নিউজ ডেস্কঃ
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামী হয়েও স্বপদে বহাল রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আরডিএর সহকারী প্রকৌশলী শেখ কামরুজ্জামান।তার বর্তমান অবস্থা ও চাকুরীর সংক্রান্ত কাগজপত্র চেয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন শাখা-১৭ এর উপসচিব লুুৎফুন নাহার স্বাক্ষরিত এক স্মারকে এ সংক্রান্ত কাগজপত্র চাওয়া হয়।রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউকের সাবেক কর্মচারী ইকবাল হোসেনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তার বর্তমান চাকুরীর অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়।
স্মারকে বলা হয়, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক কর্মচারী ইকবাল হোসেনের পক্ষ থেকে দুদুকের চার্জশিটভূক্ত আসামী সহকারী প্রকৌশলী শেখ কামরুজ্জামানের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের আদেশ যথাযথভাবে প্রয়োগ না করা ও দুর্নীতির ব্যাপকতা বৃদ্ধির অভিযোগ করা হয়েছে।এ অবস্থায় সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে তথ্য প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।যেসব তথ্য চাওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, রাজউকের সহকারী প্রকৌশলী শেখ কামরুজ্জামানের অভিযোগের বিষয়ে কি কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে সে সম্পর্কে মন্ত্রণালয়কে অবহিতকরণ, সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে কিনা? চাকুরীর বর্তমান অবস্থা কী? দুদুকের মামলায় সর্বশেষ অবস্থা এবং রাজউকের সহকারী প্রকৌশলীদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার যাবতীয় কাগজপত্র (প্রমানসহ ) প্রেরণ করতে হবে।
এ বিষয়ে কথা বলতে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর চেয়ারম্যান আনওয়ার হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।তবে প্রশাসনিক কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে যেসব তথ্য চাওয়া হয়েছে তা প্রদান ও সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।এদিকে, নাম না প্রকাশ করার শর্তে রাজউকের একাধিক কর্মচারী জানান, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষ দিক থেকে ছুটিতে আছেন সহকারী প্রকৌশলী শেখ কামরুজ্জামান।তবে তিনি মাঝে মধ্যেই এমনভাবে অনুপস্থিত থাকছেন। যদিও তার ব্যাপারে কোন তথ্য পাওয়া যায়না।
ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।উল্লেখ্য, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামী হয়েও স্বপদে বহাল রয়েছেন রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আরডিএর সহকারী প্রকৌশলী শেখ কামরুজ্জামান।শুধু তাই নয় তিনি ৩০ কোটি টাকার প্রকল্প পরিচালক হয়েছেন।এ বিষয়ে কথা বলার জন্য,প্রকৌশলী শেখ কামরুজ্জামানেল মোবাইল একাধিকবার ফোন করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
IPCS News /রির্পোট, আবুল কালাম আজাদ।