বৃহস্পতিবার ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

পৌর নির্বাচনে ননদ-ভাবির ভোটযুদ্ধ

আপডেটঃ ১২:৫৭ অপরাহ্ণ | জানুয়ারি ০৯, ২০২১

নিউজ ডেস্কঃ

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার সংরক্ষিত ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ননদ ও ভাবি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।তাঁরা হলেন ননদ নারগিস বিবি ও ভাবি রোনা বিবি।এর মধ্যে ননদ সাবেক এবং ভাবি বর্তমানে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।তাঁদের দুজনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে স্বজনেরা বিড়ম্বনায় পড়েছেন।১৬ জানুয়ারি এই পৌরসভায় ভোট হবে।স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কসবা গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে নারগিস বিবির সঙ্গে আবদুল হামিদ নামের এক ব্যক্তির বিয়ে হয়।বিয়ের পর থেকে তাঁরা আবুল কালামের বাড়িতেই থাকেন।২০১০ সালের নির্বাচনে নারগিস বিবি সংরক্ষিত ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন।ওই বছর তাঁর ভাবি প্রার্থী ছিলেন না।২০১৫ সালের নির্বাচনে নারগিস বিবির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন তাঁর বড় ভাই মাহাবুর রহমানের স্ত্রী রোনা বিবি। ওই নির্বাচনে ভাবি জয়ী হন।তবে হাল ছাড়েননি ননদ নারগিস।তিনি গত পাঁচ বছর এলাকার লোকজনের পাশে থেকে নিজের অবস্থান শক্ত করার চেষ্টা করেছেন।

গ্রামের লোকজন বলেন, এবার ননদ জবা ফুল ও ভাবি অটোরিকশা প্রতীকে নির্বাচন করছেন।সকাল হলেই এক বাড়ি থেকে দুই প্রার্থী প্রচারণা চালাতে বের হন।আলাদা আলাদা এলাকায় প্রচারণা শেষে একই বাড়ি ফেরেন তাঁরা। কখনো মুখোমুখি হলেও তাঁদের মধ্যে কোনো বিরোধ দেখা দেয় না।পরস্পরের বিরুদ্ধে কোনো অপপ্রচারও চালান না তাঁরা।নিজেরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চাচ্ছেন।এটা ভালো দিক বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ননদ নারগিস বিবি বলেন, তিনি একবার নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।২০১৫ সালে তাঁর ভাবি জয়ী হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন।এবারও তাঁরা প্রার্থী হয়েছেন।ভোটাররা যাঁকে বেছে নেন, সেটা তিনি মেনে নেবেন।ভাবি রোনা বিবি বলেন, নির্বাচনের মাঠে তাঁরা প্রার্থী।তবে পরিবারে তাঁরা ননদ-ভাবি।ভোটাররা বিবেচনা করে তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেবেন।তাঁর স্বামী মাহাবুর রহমান বলেন, বোন তাঁর মতো নির্বাচন করছেন।তাঁর স্ত্রী তাঁর মতো করে নির্বাচন করছেন।তবে স্বজনদের মধ্যে একটু অস্বস্তি আছে, কাকে রেখে কাকে ভোট দেবেন সেটা নিয়ে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে ননদ–ভাবির চারজন স্বজন বলেন, ননদ-ভাবির লড়াইয়ে তাঁরা বিব্রত।ভোট কাকে দেবেন, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন তাঁরা।

IPCS News /রির্পোট, আবুল কালাম আজাদ।