বিএডিসের নিম্নমানের বীজে সর্বশান্ত কৃষক
আপডেটঃ ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ | জানুয়ারি ০২, ২০২১
নিউজ ডেস্কঃ
রাজশাহীর তানোরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের ( বিএডিসি) বীজ ডিলারের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।নিম্নমাণের এসব আলুবীজ রোপণ করে কৃষকরা সর্বশান্ত হয়ে পথে বসেছে।ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অভিযোগ, বিএডিসির বীজ ডিলার খাবার আলু রিপ্যাক করে বীজ আলু বলে বিক্রি করায় তারা প্রতারিত হয়েছে।এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা ক্ষতিপুরুণ ও ডিলারের শাস্তির দাবিতে ৩০ ডিসেম্বার বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগন্জ বাজারের বিএডিসির অনুমোদিত বীজ ডিলার হাফিজুর রহমানের কাছে থেকে শতাধিক কৃষক, আলুবীজ এগ্রেড-২৬০০ টাকা ও বিগ্রেড-২৪০০ টাকা ব্যাগ প্রতি কেজি ৬০ টাকা দামে কিনে তা জমিতে রোপণ করেন।প্রায় ২ শত বিঘা জমিতে কোন আলু গাছ গজায়নি।এ ছাড়া কিছু গাছ গজালেও গাছ গুলো ফেঁপে ও পাতা কুঁকড়ে মরে যাচ্ছে।ভুক্তভোগী কৃষকেরা জানায়, আলু গাছে বালাইনাশক ঔষধ ব্যবহার করেও এর কেন প্রতিকার হচ্ছে না।তারা আরো জানায়, এক বিঘা জমিতে আলু চাষ করতে প্রায় ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে।
উপজেলার সরনজাই ইউপির শুকদেবপুর গ্রামের আলু চাষী সেলিম রেজা(৩৫) বলেন, এবছর তিনি ডিলার হাফিজুর রহমানের কাছে থেকে বিএডিসির আলু বীজ কিনে ৯ বিঘা জমিতে আলুবীজ রোপণ করেন।কিন্তু নিম্নমাণের বীজের কারনে গাছ গজায়নি।একই গ্রামের কৃষক দুলাল ২৪ বিঘা,কৃষক৷নাসির ১০ বিঘা, শফিকুল ৩ বিঘা,মোজাহার আলী ৫ বিঘা ও শহিদুল ৫ বিঘাসহ এলাকায় প্রায় ২০০ বিঘা জমির আলুখেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।আলু চাষিরা আরো জানায় তারা ব্যাংক, এনজিও ও সুদ ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে চড়া সুদে দাদন নিয়ে আলু চাষ করে পথে বসেছেন।
ডিলারের প্রতারণায় তারা এখন নিঃস্ব।স্থানীয়রা অভিযুক্ত ডিলারের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপুরুণের জন্য সংশ্লিস্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমুল ইসলাম বলেন,তিনি আলুচাষীদের নিকট থেকে অভিযোগ পেয়েছেন।বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এবিষয়ে বিএডিসির বীজ ডিলার হাফিজুর রহমান বলেন, আলু বীজ রোপণের পর চারা না গজালে সেই দায় তার নয়, কারণ তারা যা সরবরাহ পেয়েছে, সেটাই বিক্রি করেছেন।
IPCS News /রির্পোট, আবুল কালাম আজাদ।