শুক্রবার ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

স্ক্যান্ডােলের চাদরে জড়িয়ে পড়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

আপডেটঃ ১:০৭ অপরাহ্ণ | আগস্ট ০৪, ২০২২

নিউজ ডেস্কঃ

স্ক্যান্ডােলের চাদরে জড়িয়ে পড়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।একের পর এক কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ায় বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি চরম ভাবে বিনষ্ট হচ্ছে।তার সর্বশেষ সংযোজন কাজী আনার কলির মারিজুয়ানাকাণ্ড।আনারকলি নাইজেরিয়ান বন্ধুর সঙ্গে বিপুল পরিমাণ মারিজুয়ানাসহ ইন্দোনেশিয়ার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হাতেনাতে ধরা পড়েন।আনারকলি জাকার্তায় বাংলাদেশ দূতাবাসে উপপ্রধান ছিলেন।আনার কলিকে ইন্দোনেশিয়ার সরকারের অনুরোধে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আনারকলি মাদকাসক্ত।তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।শুধু আনারকলির ঘটনাই নয়, বিভিন্ন সময়ে আরও অনেক কেলেঙ্কারির ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে।এসব ঘটনার তদন্ত হয়েছে, বিচার ও হয়েছে।কোনো কোন ঘটনা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।কেউ কেউ বেঁচে গেছেন রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে।

তার পরও কেলেঙ্কারি থেমে নেই।এই আনারকলি আগে লস অ্যাঞ্জেলেসে বাংলাদেশ মিশনে কর্মরত থাকা কালে গৃহকর্মী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে চলে আসতে হয়েছে।মিশনগুলোতে নিয়ম-শৃঙ্খলা আনতে গেলেই রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ঘটে।এটা বন্ধ করতে হবে।হাসিব আজিজ নামের ফরেন সার্ভিসের এক মেধাবী কর্মকর্তা উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হওয়ার পর নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন।

দ্বিতীয় স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই উজবেকিস্তানের এক নারীকে বিয়ে করেন।এ নিয়ে তার আগের দুই স্ত্রী প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন পর্যায়ে অভিযোগ দিলে হাসিব আজিজ চাকরিচ্যুত হন।বাংলাদেশের এক নারী কূটনীতিকের স্বামী নিউইয়র্কে টপলেস বারে মদ্যপ হয়ে এক রাতে দেড় কোটি টাকা বিল দিয়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার শিরোনাম হয়েছিলেন।সরকার তখন ওই নারী কূটনীতিককে দেশে ফিরিয়ে আনে।

ফরেন সার্ভিসের আরেক নারী কূটনীতিককে ঘিরে একজন সাবেক বিশেষ সহকারীর নিউইয়র্কে মারামারির ঘটনায় হইচই হয়েছিল।তাকে তখন দ্রুত দেশে ফেরত পাঠানো হয়।বাংলাদেশ দূতাবাসে ফরেন সার্ভিসের এক কর্মকর্তা টোকিওতে তার এক নারী সহকর্মীকে গর্ভকালীন অবস্থায় শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করার হুমকি দেন।২০১৫ সালে ওই নারী কূটনীতিক বিষয়টি তদানীন্তন পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হকের কাছে অভিযোগ দেন।

নিপীড়নের জন্য শাস্তির বদলে নারী কর্মকর্তাকেই বরখাস্ত করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।ওই সময়ে নারী কর্মকর্তাকে পাগল সাজানোর চেষ্টা হয়।ভারতের আসামে একজন ভারতীয় নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তদান্তীন অ্যাসিস্ট্যান্ট হাইকমিশনার কাজী মুনতাসির মোর্শেদের বিরুদ্ধে।এ রকম অনেক স্ক্যান্ডােলের চাদরে জড়িয়েে আছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

IPCS News : Dhaka :