শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

হিমঘরে রাজশাহীর বিএনপির হেভিওয়েট নেতারা

আপডেটঃ ৬:১০ অপরাহ্ণ | মার্চ ০৭, ২০২২

নিউজ ডেস্কঃ

রাজশাহী ব্যুরো :- রাজশাহীতেই আছেন অথচ দলীয় কোনো কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন না বিএনপির হেভিওয়েট নেতা মিজানুর রহমান মিনু, মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল এবং শফিকুল হক মিলন।পূর্বে মহানগর বিএনপির সব কর্মসূচিতেই তাঁরা থাকতেন।কিন্তু যেদিন নগর বিএনপির কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে, সেদিন থেকেই নিষ্ক্রিয় এ তিন নেতা।গত বছরের ৯ ডিসেম্বর বুলবুলকে নগর বিএনপির সভাপতি ও মিলনকে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।কমিটি ভেঙে দিয়ে সেদিন কেন্দ্র থেকে দেওয়া হয়েছিল ৯ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি।এই আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধেই থানা বিএনপি বিক্ষোভ দেখিয়েছিল।তখন থেকেই নগর বিএনপির কর্মসূচিতে মিনু, বুলবুল ও মিলনের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না।৯ সদস্যের ওই আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছিল দলটির পেছনের সারির নেতা এরশাদ আলী ঈসাকে।

আর সদস্যসচিব করা হয়েছিল মামুনুর রশিদ মামুনকে।বাকি সাতজন ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক।কথা ছিল, স্বল্প সময়ের মধ্যে এই আহ্বায়ক কমিটি সম্মেলনের ব্যবস্থা করবে।কিন্তু তা হয়নি।গত শনিবার তাই নতুন করে আবার আহ্বায়ক কমিটি দিয়েছে কেন্দ্র।এবার কমিটির সদস্য ৬১ জন।তবে আগের আহ্বায়ক, সদস্যসচিব ও যুগ্ম আহ্বায়কেরা আগের পদেই আছেন।

শুধু বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সদস্য।দলটির সামনের সারির নেতাদের বাদ দিয়ে সামনে আনা হয়েছে পেছনের নেতাদের।এই আহ্বায়ক কমিটি ওয়ার্ড ও থানার পর নগর কমিটির সম্মেলনের আয়োজন করবে বলে দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।এদিকে দুবার নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি হলেও এতে ঠাঁই হয়নি হেভিওয়েট নেতা মিনু, বুলবুল ও মিলনের।

অবশ্য নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি মিনু এখন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদে আছেন।বুলবুল ও মিলনও কেন্দ্রের দুটি পদে আছেন দীর্ঘদিন ধরেই। নগর বিএনপি এখন কর্মসূচি পালন করলে অন্য জায়গা থেকে কেন্দ্রীয় পদধারী নেতারা আসছেন।নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে নগর বিএনপি।

এতে প্রধান অতিথি হয়ে আসেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।দলের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনও আসেন।তবে যাননি দলের নেতা রাজশাহী সিটির সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, আরেক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও তার কমিটির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন।

এই তিন নেতা কেন কর্মসূচিতে আসেন না, তা জানতে চাইলে নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈসা বলেন, ‘আমরা ডাকি, কিন্তু বিভিন্ন অজুহাতে তাঁরা আসেন না।কেন আসছেন না আপনিও বুঝতে পারছেন, আমিও পারছি।আমরা কী করতে পারি?’এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে বন্ধ পাওয়া গেছে।

তবে কথা বলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু।তিনি বলেন, এখনকার বিএনপি আর আগের মতো নয়।এখন কে কোন প্রোগ্রামে যাবে, কোথায় বক্তব্য দেবে তা কেন্দ্র ঠিক করে দেয়।রাজশাহীতে দলীয় কর্মসূচিতে না দেখার বিষয়ে জানতে চাইলে শফিকুল হক মিলন বললেন, কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে আমরা বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছি।

এখন আর এসব প্রোগ্রামে থাকা হচ্ছে না।নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে কোনো ক্ষোভ আছে কি না জানতে চাইলে বলেন, দল করলে মান-অভিমানের জায়গা আছে নাকি? কিচ্ছু নাই।

IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ : রাজশাহী্।