শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

চাঁ, নবাবগঞ্জ রুটে ২বছর থেকে চলছেনা পদ্মা ও ধূমকেতু ট্রেন

আপডেটঃ ৩:৪১ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২২

নিউজ ডেস্কঃ

রাজশাহী প্রতিনিধি:- চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুই বছর ধরে বন্ধ রয়েছে আন্তঃনগর পদ্মা ও ধূমকেতু ট্রেন।করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০২০ সালের ২৪ মার্চ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয় রেল কর্তৃপক্ষ।কিন্তু ২০২০ সালের ১ আগস্ট রাজশাহী থেকে পুনরায় পদ্মা ও ধূমকেতু চালু হলেও চাঁপাই নবাবগঞ্জের সঙ্গে সংযোগ ট্রেন হিসেবে কমিউটার ট্রেন আর চালু হয়নি।এতে দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা।চাঁপাই-নবাবগঞ্জের যাত্রীদের সুবিধার জন্য পদ্মা ও ধূমকেতুর সংযোগ হিসেবে দুপুর ২টা ৪০ মিনিট ও রাত ৯টা ৪০ মিনিটে চাঁপাই নবাবগঞ্জ-রাজশাহী কমিউটার ট্রেন চালু করা হয়েছিল।কিন্তু বর্তমানে শুধু বনলতা ছাড়া আর কোনো ট্রেন চালু নেই।এমনকি চাঁপাই নবাবগঞ্জ-খুলনা-যশোর-পাবনা ট্রেন সার্ভিস অকার্যকর থাকায় এ অঞ্চলের বাসিন্দারা যাতায়াত করতে অসুবিধায় পড়েছে।

২০১১ সালের ২৩ এপ্রিল নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাঁপাই নবাবগঞ্জ থেকে ঢাকা পর্যন্ত সরাসরি আন্তনগর ট্রেন চালুর ঘোষণা দেন।২০১৭ সালের ২১ মে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী পদ্মা ও ধূমকেতু ট্রেনের সংযোগ হিসেবে কমিউটার ট্রেনে দুটি চালু করা হয়।জানা গেছে,চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী-রহনপুর অংশের পুনর্বাসন প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।

উদ্দেশ্য ছিল ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো।এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ-পাবনা পর্যন্ত পাবনা এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেন চালুর কথা ছিল।তাও চালু হয়নি।রেল কর্তৃপক্ষের অজুহাত, ইঞ্জিন আর কোচের সংকট থাকায় বন্ধ হওয়া ট্রেনগুলো চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।আব্দুর রহমান পেশায় এঅজন ব্যাংকার  বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ।কাজ করেন ঢাকার একটি বেসরকারি ব্যাংকে।

অসুস্থ বাবার খোঁজখবর ও দেখভাল করতে নিয়মিত গ্রামের বাড়িতে আসতে হয় তাকে।তিনি বলেন, অসুস্থ বাবাকে দেখতে সপ্তাহের ছুটির আগের দিন সন্ধ্যায় অফিস শেষ করে বাড়ি রওনা দিই।সারাদিন বাড়িতে থেকে আবার রাতে রওনা দিই পরদিন অফিস করার জন্য।রাত ৯টা ৪০ মিনিটের কমিউটর ট্রেনে রাজশাহীতে গিয়ে ধূমকেতু ট্রেন ধরতাম।

কিন্তু করোনায় বন্ধের পর এ সুযোগ আর পাচ্ছি না।তিনি আরও বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে কমিউটার ট্রেন বন্ধ থাকায় বাসে যেতে হয়।এতে জ্যামের কারণে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা লেগে যায়।পরের দিন অফিস করতে পারি না।তাই এখন আর বাড়িও আসতে পারি না।খুব দ্রুত ট্রেনটি চালু করা উচিত।

চাঁপাই নবাবগঞ্জ রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. ওবাইদুল্লাহ  বলেন, এ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে।কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই সংযোগ ট্রেন দুটির চালক না থাকায় তা চালু করা যাচ্ছে না।নতুন চালক নিয়োগ দেওয়া হলে চালু হতে পারে।ট্রেন দুটির চালক অবসরে চলে গেছেন বলে জানান তিনি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসীর প্রাণের দাবি সংযোগ ট্রেন দুটি চালু করা।এ নিয়ে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে।কিন্তু করোনার কারণে সশরীরে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।করোনা পরিস্থিত কিছুটা স্বাভাবিক হলে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে ট্রেনগুলো চালুর ব্যবস্থা করা হবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, লোকবল,ইঞ্জিন ও কোচ-সংকট থাকায় ট্রেন দুটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।তিনি সদ্য পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক হিসেবে যোগদান করেছেন।ঊর্ধ্বতনদের সাথে আলাপ আলোচনা করে দ্রুত ট্রেনগুলো পুনরায় চালু করার চেষ্টা করবেন বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ : রাজশাহী।