শুক্রবার ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

রাজশাহী মহানগর ও জেলা আ: লীগে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, নেতৃত্ব নিয়ে চলছে গুনজন

আপডেটঃ ৬:৪৮ অপরাহ্ণ | ডিসেম্বর ২০, ২০২১

নিউজ ডেস্কঃ

রাজশাহীতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মহানগর ও জেলার দুই কমিটিই এখন চলছে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দিয়ে।আগামী কাউন্সিল না হওয়া পর্যন্ত মহানগরে প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল এবং জেলায় অনিল কুমার সরকারও দায়িত্ব পালন করে যাবেন।তবে দুই ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এতোটা সময় কতুটুকু দলের হাল তাঁরা টেনে নিয়ে যেতে পারবেন, তা নিয়ে দলের মধ্যেই রয়েছে নানা প্রশ্ন।অন্যদিকে আগামীতে এর দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদে কারা আসতে পারেন-তা নিয়ে এখনোই নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে।বিশেষ করে নগর আওয়ামী লীগের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি সংগঠনের সভাপতি পদে প্রভাবশালী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে একসমেয় বিএনপি-জামায়াতের ঘাটি হিসেবে পরিচিত রাজশাহীতে ফের স্বাধীনতাবিরোধীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে বলেও শঙ্কা করা হচ্ছে।

সে ক্ষেত্রে পরিস্থিতি সামাল দিতে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন পরিবার থেকেই সভাপতি পদটি আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।এই মধ্যে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোককজনও বিষয়টি নিয়ে মাঠে নেমেছেন।অন্যদিকে জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা বাগমারা উপজেলা চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার।

তিনি সংগঠনটির সহসভাপতি ছিলেন।দলীয় সূত্র মতে, গত বছরের ১ মার্চ রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।ওইদিন শুধুমাত্র সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে সভাপতি ও ডাবলু সরকারকে সাধারণ সম্পাদক করে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।এর পর ওই বছরের ২৩ নভেম্বর ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

এর মধ্যে তিন বছর মেয়াদী এ কমিটির সভাপতি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে ২৭ নভেম্বর দলের প্রেসিডিয়াম সভাপতি করার পর থেকে পদটিতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল।

তৃণমূলের একাধিক নেতাকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী কামাল রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের মতো সংগঠনের হাল ধরতে কতটুকু পারবেন-তা নিয়ে রয়েছে যেমন সংশয়।তেমনি আগামীতে সদস্য সাবেক হওয়া সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের মতো প্রভাবশালী নেতৃত্ব তৈরী করতে না পারলে এর মাশুল গুনতে হবে মহানগর আওয়ামী লীগকে।

বিশেষ করে এখানে আবারো বিএনপি-জামায়াতের উত্থান হবে।এই অবস্থায় আগামী কাউন্সিলে লিটন পরিবার থেকেই কাউকে সভাপতি করা যায় কিনা সে বিষয়টি নিয়ে এখনোই মাঠে নেমেছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাও মাঠে নেমেছে বলে নিশ্চিত করেছে।জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগর আওয়াম লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, সভাপতির অনেক দায়িত্ব।

তবে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনেকটা প্রবীন হওয়ায় এখন আমার চাপ বেড়েছে।তবে দলের জন্য সবাই মিলে আমরা কাজ করছি।এদিকে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ২০১৯ সালের ৮ ডিসেম্বর রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতি হিসেবে রাজশাহী-৩ আসনের সাবেক এমপি মেরাজ উদ্দিন মোল্লা এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় রাজশাহী-৫ আসনের সাবেক এমপি কাজী আবদুল ওয়াদুদ দারার।এছাড়া বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলু এবং রাজশাহী-৩ আসনের এমপি আয়েন উদ্দিনকে যুগ্ম সম্পাদক করা হয়।

এই আংশিক কমিটি ঘোষণার পরে চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি ৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।এরই মধ্যে গত ৯ মে, মারা যান জেলার সভাপতি মেরাজ উদ্দিন মোল্লা।এর পর তাঁর স্থলে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সহসভাপতি অনিল কুমার সরকার।দলীয় সূত্র মতে, অনিল কুমার সরকার মূলত বাগমারাকেন্দ্রীক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

ফলে তাঁকে দিয়ে পুরো জেলার দায়িত্ব পালন করানো অনেকটা কঠিন হয়ে পড়েছে।এই অবস্থায় আগামীতে প্রভাবশালী কোনো নেত্বত্বের কথা চিন্তা করছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।দলের উচ্চ পর্যায় থেকেও সে ধরনের বার্তা দেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে একাধিক সূত্র।

জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা বলেন, আওয়ামী লীগের গঠণতন্ত্র অনুযায়ী কোনো পদ শূন্য হলে পরবর্তি সম্মেলন পর্যন্ত ক্রমানুসারে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চলবে।সেই হিসেবে আগামী সম্মেলন পর্যন্ত বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতিই দায়িত্ব পালন করবেন। তবে আমরা সবাই মিলে একসাথে কাজ করছি।

IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ : রাজশাহী।